
গোলাম আজম,রংপুর প্রতিনিধি:
সয়াবিন তেল,চিনি সহ নিত্য প্রয়াজনীয় জিনিষ পত্রের দাম বৃদ্ধি পেয়েছে স্বীকার করে বানিজ্য মন্ত্রী টিপু মুন্সি বলেছেন বিশেষ করে সয়াবিন তেলের দাম বৃদ্ধি পাওয়ায় আমি অনেক গালাগালি শুনেছি। সারা বিশ্বে চিনি ও ভোজ্য তেলের দাম বেড়েছে এটা গ্লোবাল সমস্যা তার পরেও আমরা চেষ্টা করছি দাম কমিয়ে আনার।
তিনি আজ মঙ্গলবার দুপুরে রংপুর জিলা স্কুল মাঠে মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতার সুবর্নজয়ন্তি উপলক্ষে রংপুর জেলার বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিতে এসে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় কালে এসব কথা বলেন।
বানিজ্য মন্ত্রী বলেন, মুক্তিযোদ্ধারা সুবিধা পাবার জন্য যুদ্ধ করেনি। তারা বাঙ্গালী জাতির মুক্তির জন্য বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের আহবানে সাড়া দিয়ে যুদ্ধ করেছেন অনেকে জীবন দিয়েছে। সে কারনে প্রধান মন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য ফিল করেন। তাদের সুযোগ সুবিধা বৃদ্ধি সহ জীবন মান উন্নয়নের জন্য সব ধরনের সুযোগ সুবিধার ব্যবস্থা করেছেন। বেশ কিছুদিন ধরে আমরা পরিকল্পনা করছিলাম মুক্তিযোদ্ধাদের নিয়ে পুর্নমিলনি করতে সারা দিন তাদের সাথে সময় কাটাতে। এমনিতেই মুক্তিযোদ্ধাদের সংখ্যা কমছে। আবার কবে রংপুরের সকল মুক্তিযোদ্ধা সাথিদের সাথে দেখা হবে সে কারনে স্বাধীনতার ও মুক্তিযুদ্ধের সুর্বন জয়ন্তি অনুষ্ঠান করার জন্য উৎসাহী হলাম।
তিনি বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মুক্তিযুদ্ধ বান্ধব,মুক্তিযোদ্ধা বান্ধব। তিনি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ভাতা দ্বিগুন করে দিয়েছেন। বিভিন্ন ধরনের সুযোগ সুবিধা করে দিয়েছেন এসব ইম্পিলিম্যান্ট করতে সময় লাগছে।
দীর্ঘ ৫০ বছরে দেশ অনেক এগিয়ে গেছে মানুষের রোজগার বেড়েছে এখন বাংলাদেশ বিশ্বের কাছে উন্নয়নের রোল মডেল।বিশ্বব্যাংক ঋন নেবার জন্য আমাদের সাধে আগে এরকম ছিলোনা। গত বছর করোনা মহামারীর সময় বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখেছে বিশ্ব। পাকিস্তান এখন সকল ক্ষেত্রে আমাদের চেয়ে শতকরা ৫০ ভাগ পিছিয়ে আছে। এটা সম্ভব হয়েছে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার দুরদৃষ্টি সম্পন্ন কর্মকান্ডের জন্যে।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের উত্তরে বানিজ্য মন্ত্রী বলেন,যে সব পন্য কৃষকেরা চাষ করে এবং ন্যায্য মুল্য না পায় তখন তারা সেগুলো চাষাবাদ করা বন্ধ করে দেয় তাহলে আমাদের কি অবস্থা হবে সে কারনে কৃষকদের কথাও আমাদের চিন্তা করতে হবে।
এর আগে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করে পায়রা উড়িয়ে দিন ব্যাপি বীর মুক্তিযোদ্ধাদের পুর্নমিলনী অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন। দিন ব্যাপি অনুষ্ঠানের মধ্যে ছিল মুক্তিযোদ্ধাদের হাঁড়ি ভাঙ্গা ও দৌড় সহ বিভিন্ন ধরনের প্রতিযোগীতা। এ ছাড়াও বনাঢ্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান পরিবেশন করা হয়। অনুষ্ঠানে জেলা প্রশাসক আসিব আহসান,মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কমান্ডার মোসাদ্দেক হোসেন বাবলু, সিটি মেয়র মোস্তাফিজার রহমান মোস্থফাসহ রংপুর জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে আগত শত শত বীর মুক্তিযোদ্ধা উপস্হিত ছিলেন।