
বাবলু ইসলাম অর্ণব, স্টাফ রিপোর্টার
এক চেনা উদ্বেগ আমাদের মধ্যে নতুন করে দেখা দিয়েছে – আর তা হলো করোনাভাইরাসের নতুন এই ভ্যারিয়েন্ট – অমিক্রন।
সর্বশেষ এই ভ্যারিয়েন্টটি কোভিড জীবাণুর সবচেয়ে বেশি মিউটেট হওয়া সংস্করণ। এর মিউেটশনের তালিকা এত দীর্ঘ যে একজন বিজ্ঞানী একে ‘ভয়াবহ’ বলে বর্ণনা করেছেন। অন্য এক জন বিজ্ঞানী বলেছেন, তার দেখা অন্য ভ্যারিয়েন্টগুলোর মধ্যে অমিক্রনই সবচেয়ে মারাত্মক। করোনাভাইরাস প্রতিনিয়ত নতুন নতুন সমস্যার মাঝে রাখছেন সাধারণ মানুষকে এর মাঝে বাংলাদেশে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যু হয়েছে আরও ২৩৭ জনের। ফলে কোভিড-১৯ রোগে মোট মৃত্যুর সংখ্যা ছাড়ালো ২০ হাজার। এখন পর্যন্ত বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে মারা গেছেন ২০,০১৬ জন। স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, গত ২৪ ঘণ্টায় বাংলাদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত নতুন রোগী শনাক্ত হয়েছেন ১৬ হাজার ২৩০ জন।(সূত্র: স্বাস্থ্যবিভাগ)
দেশে আবারও উদ্বেগজনক হারে বাড়ছে করোনা সংক্রমণ। এ কারণে আবারও বিভিন্ন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে সরকারের পক্ষ থেকে।তার কোনো বালাই নেই সাধারন মানুষের মধ্যে মাস্ক ছাড়া চলাফেরা এবং টিকা না নেওয়ার বিভিন্ন কারন হাজির করছেন তাড়া চার দিন না যেতেই যেন সব শর্ত ভুলতে বসেছে সবাই। রাজধানীর বড় শপিং মল ও সুপারশপগুলোতে কিছুটা মানার চেষ্টা চললেও ছোট মার্কেট ও বাজারে স্বাস্থ্যবিধির তোয়াক্কা করছে না কেউই। কাঁচাবাজারগুলো স্বাভাবিক সময়ের মতোই জমজমাট। শরীর ঘেঁষে ভিড় করে কেনাকাটা করছে ক্রেতারা। ক্রেতার মাস্ক মুখে থাকলেও বিক্রেতার মাস্ক মিলছে থুতনিতে।
এ রকম প্রেক্ষাপটে করোনাসংক্রান্ত জাতীয় পরামর্শক কমিটির পক্ষ থেকে সরকারের প্রায় সব কিছু খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আহবান জানানো হয়েছে। তারা বলছে, জীবন-জীবিকার প্রয়োজনে কিছু বিষয় স্বাস্থ্যবিধি মেনে খোলা প্রয়োজন, এটা ঠিক। কিন্তু সব কিছু খুলে দেওয়াটা সামনের দিনে বড় ঝুঁকি তৈরি করবে।
গনপরিবহনে দেখা গেছে আরো ভয়াভয় চিত্র সকালবেলা সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদ থাকার কথা বলা হলেও দেখা গেছে বেশির ভাগ চালক-সহকারী এখনো ভ্যাকসিন নেননি। অনেকেই নিজেদের সাথে মাস্ক রাখছেন। কিন্তু মুখে থাকার পরিবর্তে মাস্ক দেখা গেছে থুতনি কিংবা গলায়। কেউ কেউ আবার মাস্ক খুলে পকেটে রেখে দিয়েছেন। অনেকের মুখে মাস্কই ছিল না। এমনকি গাদাগাদি করে গণপরিবহনে উঠছেন। বিশেষ করে রাজধানীতে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মোটেই অনুসরণ করা হচ্ছে নাহ
রাজধানীর কিছু গণপরিবহনে হাজির এবিসি টিভি সংবাদিক দেখে ড্রাইভার পরল মাস্ক, আর হেলপার বললেন ভিন্ন কথা মাস্ক পরলে যাত্রী উঠেনা গাড়িতে যাত্রী ডাকা যায়না ভাড়া নিতে সমস্যা ইত্যাদি, আমরা কথা বলি কয়েকজন যাত্রীর সংজ্ঞে তাদের অভিযোগ এমনেতেই ভাড়া ভারতি এই উপরে অতিরিক্ত ভাড়া দাবি করে মিরপুর গামী বাস ইতিহাস এবং অভিল ও যেখানে সেখানে যাত্রী উঠা নামা করে দাড়করেও দিচ্ছেন যাত্রী, সব ধরনের যানবাহনের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে করোনা ভ্যাকসিন গ্রহণের সনদ থাকার কথা বলা হলেও দেখা গেছে বেশির ভাগ চালক-সহকারী এখনো ভ্যাকসিন নেননি। অনেকেই নিজেদের সাথে মাস্ক রাখছেন। কিন্তু মুখে থাকার পরিবর্তে মাস্ক দেখা গেছে থুতনি কিংবা গলায়। কেউ কেউ আবার মাস্ক খুলে পকেটে রেখে দিয়েছেন। অনেকের মুখে মাস্কই ছিল না। এমনকি গাদাগাদি করে গণপরিবহনে উঠছেন। বিশেষ করে রাজধানীতে গণপরিবহনে স্বাস্থ্যবিধি মোটেই অনুসরণ করা হচ্ছে না। রাজধানীর বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ মোড়, বাসস্ট্যান্ড ও কমলাপুর রেলস্টেশন ঘুরে এমন দৃশ্য চোখে পড়ে। ওমিক্রনের সংক্রমণরোধে গত সোমবার সার্বিকভাবে কিছু বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকারের মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। এই বিধিনিষেধ চলাকালে সবাইকে ১১ দফা নির্দেশনা মেনে চলার কথা বলা হয়েছে।
এই বিষয়ে মিরপুর জোন ট্রাফিকপুলিশ এর সাথে কথা বললে জানান অতিরিক্ত যাত্রীসংখ্যা নিলে আমরা তাদের বিরুদ্ধে কঠোর আইনগত ব্যবস্থা নিবো এবং নিচ্ছি এরই মাঝে অনেক মামলা করা হইছে রাজধানী সুপার সার্ভিস ও ইতিহাস পরিবহনকে এর সাথে আমরা গাড়ি ব্যাক পাঠাচ্ছি যাত্রীসংখ্যা অতিরিক্ত হলে
প্রসঙ্গত, গত ১০ জানুয়ারি করোনা মহামারী প্রতিরোধে ১১ দফা বিধিনিষেধ জারি করে সরকার। ১১ দফা বিধিনিষেধের ছয় নম্বর দফায় বলা হয়েছে, ট্রেন, বাস এবং লঞ্চে অর্ধেক যাত্রী নিতে হবে। সব যানের চালক ও সহকারীদের আবশ্যিকভাবে কোভিড-১৯ টিকা সনদধারী হতে হবে। এতে আরো বলা হয়, জনসাধারণকে অবশ্যই বাইরে গেলে মাস্ক পরতে হবে। স্বাস্থ্যবিধি প্রতিপালন নিশ্চিতে সারা দেশে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে।