
মিজানুর রহমান মিলন, শেরপুরঃ
শেরপুরে জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে সাংবাদিকদের ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। ৮ ডিসেম্বর বুধবার সকাল ১০টায় সিভিল সার্জন কার্যালয়ের সম্মেলন কক্ষে স্থানীয় সাংবাদিকদের সাথে এক মতবিনিময় ও ওরিয়েন্টেশন কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
সারাদেশে আগামী ১১-১৪ ডিসেম্বর জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উদযাপন উপলক্ষে শেরপুর জেলার সদর উপজেলাসহ পাঁচ উপজেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার লক্ষে এই কর্মশালার আয়োজন করা হয়।
জনস্বাস্থ্য পুষ্টি প্রতিষ্ঠান ও জাতীয় পুষ্টি সেবা, স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রণালয় বাস্তবায়নে সাংবাদিকদের সাথে মতবিনিময় ও ওরিয়েন্টেশন কর্মশালায় সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কাশেম মোঃ আনওয়ারুর রউফ এর সভাপতিত্বে ও মেডিকেল অফিসার (সমন্বয়) ডাঃ নাহিদ কামাল উপস্থাপনায় স্বাগত বক্তব্য রাখেন, সিভিল সার্জন ডাঃ আবুল কাশেম মোঃ আনওয়ারুর রউফ।
এসময় তিনি বলেন, বিগত বছর গুলোতে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন ৪দিন ব্যাপী অনুষ্ঠিত হচ্ছে। সেই সাথে জেলার স্বাস্থ্য বিভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে ভিটামিন‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সফল করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বাংলাদেশ থেকে অপুষ্টি জনিত অন্ধত্ব নির্মূল এবং অপুষ্টি জনিত শিশু মৃত্যু প্রতিরোধ করার লক্ষে একযোগে সারাদেশের সাথে শেরপুর জেলায় ১১ অক্টোবর থেকে ১৪ ডিসেম্বর পর্যন্ত জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন অনুষ্ঠিত হবে। এতে প্রত্যেক দিন ব্যাপী ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
তিনি আরো বলেন, ভিটামিন ‘এ’ মানুষের শরীরে খুবই প্রয়োজন। ভিটামিন ‘এ’ এছাড়াও প্রতিটি মানুষের শরীরে ভিটামিন ‘বি’, ‘সি’ ও ‘ডি’ প্রয়োজন রয়েছে। তার মধ্যে ভিটামিন ‘এ’ প্রাণিজ ও উদ্ভিজ থেকে পাওয়া যায়। পাশাপাশি শিশুদের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন ‘এ’। ভিটামিন ‘এ’ অভাবে অনেক শিশু রাতকানা রোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত হয়ে থাকে। এবছর শেরপুর জেলা সদরসহ ৫ উপজেলায় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইনে ৬-১১ মাস বয়সী ২৩ হাজার ৭১৪ শিশুকে ১টি করে নীল রঙের ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাপসুল ও ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ লাখ ৮৩ হাজার ৬৫০ শিশুকে ১টি করে লাল রঙের ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল খাওয়ানো হবে।
শেরপুর জেলায় জাতীয় ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন সুষ্ঠু ও সফলভাবে করতে ১৩৪৬টি কেন্দ্র করা হয়েছে এবং এতে ২৬৯২ জন স্বেচ্ছাসেবী ক্যাম্পেইনে কাজ করবে। এছাড়াও ক্যাম্পেইনে স্বাস্থ্য সহকারি থাকবে ১৭৪ জন এবং এফডব্লিউএ ২১১ জন মোট ৩৮৫ জন সরকারি কর্মচারী কাজ করবে।