
গোলাম আজম, রংপুর প্রতিনিধি:
রংপুর পীরগাছা উপজেলার ১ নং কল্যানী ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের খামার উপাশু মৌজায় গত ২০১৪ সালে বরেন্দ্র প্রকল্পের মাধ্যমে একটি গভীর নলকুপ স্হাপন হয় এবং আলহাজ্ব খাজা আহম্মেদ কে সভাপতির দ্বায়িত্ব দিয়ে উক্ত এলাকার জমিতে পানি সেচ পরিচালনা করিয়া আসিতেছিল।
২০১৫ সালে এসে আলহাজ্ব খাজা আহম্মেদ ১লক্ষ ২৫ হাজার টাকার বিনিময়ে খামার উপাশু গ্রামের স্হায়ী বাসিন্দা বিষ্ণু চন্দ্র বর্মনকে ম্যানেজার হিসেবে দায়িত্ব দিয়ে নলকূপটি হস্তান্তর করে। বিষ্ণু চন্দ্র বর্মন ম্যানেজার হিসাবে দ্বায়িত্ব পাওয়ার পর থেকে সফল ভবে উক্ত গভীর নলকুপটি পরিচালনা করে আসিতেছিল। কিন্তু গ্রামের কিছু অসাধু ব্যাক্তি এ সফলতাকে মেনে নিতে না পারায় বিষ্ণু চন্দ্র বর্মনের বিরুদ্ধে চক্রান্ত শুরু করে এবং চক্রান্তের এক পর্যায়ে বিষ্ণু চন্দ্র বর্মন এর উপর অতর্কিত হামলা করে এলোপাতাড়ি জখম করে, তার প্রেক্ষিতে গত ২৩/১২/১৭ ইং তারিখে পীরগাছা থানায় একটি মামলা হয় যাহার নাম্বার ১১/১৭। উক্ত মামলার আসামি গন শাস্তি ভোগ এর ভয়ে এলাকার কিছু কু-পরিচিত এবং অসাধু ব্যক্তিকে সাথে নিয়ে পীরগাছা উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যানের শরণাপন্ন হলে বিষয়টি নিয়ে গ্রামের সকলের সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে দ্বন্দ্ব নিরসনের লক্ষ্যে বিষু চন্দ্র বর্মন (৪৮) কে পুনরায় ম্যানেজার হিসেবে পুনবহাল করে সেই সাথে শ্রী সুবল কুমার লালটু (৩৫) কে ড্রেনম্যান হিসেবে গভীর নলকুপটি পরিচালনা করার দ্বায়িত্ব দেন।
কিন্তু ২০২২ সালের বোরো মৌসুম আসলে আবারো পুর্ব শত্রুতার জের ধরে শ্রী সুবল কুমার লালটু উক্ত এলাকার কতিপয় ব্যক্তিকে লোভ-লালসা দেখিয়ে ম্যানেজার বিষ্ণু চন্দ্র বর্মন এর বিরুদ্ধে চক্রান্ত করে এবং বিভিন্ন ভয়-ভীতি দেখিয়ে বিষ্ণু চন্দ্র বর্মন কে বাদ দিয়ে কৌশলে শ্রী সুবল কুমার লালটু এলাকার ওই অসাধু ব্যক্তিদের সাথে নিয়ে উক্ত গভীর নলকূপটির সেচ কার্য পরিচালনা শুরু করে।
এমতাবস্থায় ঐ গ্রামে গিয়ে দেখাযায় যে, বিষ্ণু চন্দ্র বর্মন অনুসারী কৃষকদেরকে চলতি বোরো মৌসুমে উক্ত গভীর নলকূপটির সেচ থেকে বঞ্চিত করায় প্রায় ৩০-৪০ একর জমি অনাবাদী থেকে যায়। সেচের অভাবে জমিগুলো অনাবাদি থাকায় ভুক্তভোগী কৃষকদের চলতি আলু এবং স্কিম এই দুই খন্দ মিলে ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়ায় ৮০-৯০ লক্ষ টাকা। এটা জাতীয় অর্থনীতির বড় ধরনের ক্ষতিও বটে, সরেজমিনে আরো দেখা গেছে ঔসব কৃষকগন এবং তাদের পরিবার খাদ্যের অভাব এবং ব্যাপক অর্থনৈতিক সংকটের মুখে পড়েছে।
এব্যাপারে এলাকায় ব্যাপক উত্তেজনার সৃষ্টি হয়েছে।
বিষটি প্রশাসনের নজরে এনে দ্রুত হস্তক্ষেপ কামনা করছে এলাবাসী।