
শৈলকুপা(ঝিনাইদহ) প্রতিনিধি-
সাংবাদিকতার ‘এথিকস’ কতটুকু মানা হয়? আর নীতিহীন সাংবাদিকতার বিস্তারের কারণই বা কী? এসব নিয়ে সোমবার বিকালে ঝিনাইদহের ঐতিহ্যবাহী শৈলকুপা প্রেসক্লাবের উদ্যোগে সাংবাদিকদের এক বিশেষ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। ক্লাবের সাংগঠনিক ও শৈলকুপার সামগ্রিক পরিস্থিতি নিয়েও আলোচনা হয়।
শৈলকুপার কবিরপুরে প্রেসক্লাবের নিজস্ব ভবনে এই বিশেষ সভা সঞ্চালনা করেন ক্লাবের সাধারণ সম্পাদক শাহীন আক্তার পলাশ। সাংবাদিকতার নামে এক শ্রেণীর প্রতারক স্যোশাল মিডিয়া ফেসবুকে বিভিন্ন শ্রেণী-পেশার মানুষের নিয়ে মানহানী, সামাজিক মর্যাদাহানী ও ব্লাকমেইলিং করে আসছে যা উদ্বেগের বিষয় বলে মতামত তুলে ধরেন প্রেসক্লাবের সাংবাদিকরা। এসব প্রতিরোধে ভুক্তভোগীদের আইনগত আশ্রয় নেবার আহব্বান জানানো হয়।
শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সভাপতি এম হাসান মুসার সভাপতিত্বে বিশেষ সভায় উপস্থিত ছিলেন সাংবাদিক আব্দুর রহমান মিল্টন, তাজনুর রহমান ডাবলু, শামীম বিন সাত্তার, মফিজুল ইসলাম,আব্দুল ওহাব, তুহীন জোয়াদ্দার,মাসুদুর রহমান, চঞ্চল মাহমুদ, রামিম হাসান, আব্দুল জাব্বার, ওয়ালী উল্লাহ ওলি, আলীমুজ্জামান, আব্দুল মান্নান,আবিদুল ইসলাম, নোমান পারভেজ, বকুল হোসেন, মনিরুল ইসলাম, সম্রাট হোসেন, ইমন হাসান প্রমুখ।
বিশেষ সভায় সাংবাদিকরা বলেন মূল ধারার গণমাধ্যম ও স্যোশাল মিডিয়া একই বিষয় নয়। সভায় ক্লাবের সদস্যদের প্রতি প্রযুক্তিগত সকল ধারণা আয়ত্ব করার উপর গুরুত্ব আরোপ করা হয়। কপি- পেস্টের পরিবর্তে নিজে নিজে সংবাদ লেখা,ফটোশপ, ভিডিও ধারণ, এডিট, ফুটেজ, কম্পোজ, মেইল এসব শেখার প্রতি গুরুত্ব দেয়া হয়। এছাড়া মফস্বলে সাংবাদিকতা ও পেশাদারিত্ব গড়ে তুলতে প্রথম শ্রেণীর পত্রিকা নিয়মিত পড়া ও সংবাদের কলাকৌশল নিয়ে আলোচনা হয়। শৈলকুপা প্রেসক্লাবের নাম ভাঙ্গিয়ে কতিপয় প্রতারক জেলাজুড়ে চাঁদাবাজি ও মানুষকে জিম্মি করে অপকর্ম চালাচ্ছে বলে বিশেষ সভায় উল্লেখ করা হয়। সম্মানিত বিভিন্ন মানুষের সাথে ছবি তুলে, অফিস-আদালতের ছবি ফেসবুকে দিয়ে নাম ভাঙ্গিয়ে বিপদে থাকা সহজ-সরল মানুষের কাছ থেকে অর্থ হাতিয়ে নেয়া হচ্ছে বলে জানানো হয়। প্রশ্ন তোলা হয় তাদের অর্থ-বিত্ত ও গাড়ি-বাড়ির প্রসঙ্গে।
বিশেষ সভায় শৈলকুপা প্রেসক্লাবের সাংগঠনিক দিক, কমিটি গঠন ও ভবন সম্প্রসারণের উপর আলোচনা হয়।